bApps Apps
সত্যানুসরণ - Satyanusaran in Bengali 6.0
সত্যানুসরণ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র দ্বারা রচিত একটিগ্রন্থ।শ্রীশ্রীঠাকুরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অতুলচন্দ্র ভট্টাচার্যকর্মসুত্রেপাবনা ছেড়ে বাজিতপুর যাওয়ার আগের রাত্রে শ্রীশ্রীঠাকুরকেআবেদনকরেন, যদি উনি কিছু সনাতন আদর্শ, চিন্তাধারা লিপিবদ্ধ করেন।১৯১০খ্রিস্টাব্দে শ্রীশ্রীঠাকুর ২২ বছর বয়সে এক রাত্রে লিপিবদ্ধকরেনতাঁর গ্রন্থ সত্যানুসরণ। ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে এই গ্রন্থটিকেদ্যপার্স্যুট অব ট্রুথ The Pursuit of Truth নামে ইংরেজী ভাষায়অনুবাদকরা হয়।
পুণ্য-পুঁথি (Punya Puthi in Bengali) 3.0
শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সনাতন ধর্মের একজন আধ্যাত্মিক পুরুষ।বাংলা১২৯৫ সনের ৩০ শে ভাদ্র পাবনা জেলার অদূরে পদ্মানদীর তীরেহিমাইতপুরেতিনি আবির্ভূত হন। অনুকূলচন্দ্রের পিতা শিবচন্দ্র ছিলেননিষ্ঠাবানব্রাক্ষ্মণ। তার জননী মনোমোহিনী দেবী ছিলেন একজন স্বতীসাধ্বীরমনী।তিনি উত্তর ভারতের যোগীপুরুষ শ্রী শ্রী হুজুর মহারাজের শিষ্য।ঠাকুরঅনুকূলচন্দ্র মায়ের কাছেই দীক্ষা গ্রহন করেন। পদ্মানদীরতীরেহিমাইতপুর গ্রমেই অনুকূলচন্দ্রের শৈশব, বাল্য ও কৈশর অতিক্রান্তহল।পিতা-মাতার প্রতি ছিল তার গভীর শ্রদ্ধা। একবার পিতার অসুখেরসময়সংসারে খুব অর্থকষ্ট দেখা দেয়। বালক অনুকূলচন্দ্র এগিয়েএলেনসংসারের হাল ধরতে। তিনি প্রতিদিন আড়াইমাইল হেটে গিয়ে শহরেমুড়িবিক্রি করে সে অর্থ দিয়ে পিতার জন্য ঔষধ আনতেন, পত্য আনতেন।মায়েরপ্রতিও ছিল তাঁর অগাত ভক্তি। মা-বাবার মুখে হাসি ফোটাতে সকলকষ্টিতিনি অকাতরে সইতে পারতেন। হিমাইতপুরে পাঠশালায় পাঠ সমাপ্ত হলেতিনিপাবনা ইনস্টিটিউট এ ভর্তি হন। সহপাঠীদের কাছে ঠাকুরঅনুকূলচন্দ্রছিলেন প্রিয়পাত্র। কেউ তাকে বলতেন ‘প্রভু’ আবার কেউএকধাপ এগিয়েবলতেন অনুকূল আমাদের রাজা ভাই। পাবনা থেকে নৈহাটি উচ্চবিদ্যালয়েএলেন অনুকূলচন্দ্র। এখান থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় তিনিমনোনীত হন।কিন্তু সে পরীক্ষা দেওয়া আর তার ভাগ্যে ঘটেনী। এক দরিদ্রসহপাঠীরপরীক্ষার ফিসের টাকা যোগাড় করতে পারেনী দেখে ব্যথিতঠাকুরঅনুকূলচন্দ্র নিজের টাকাটা তাকে দিয়ে দেন। মায়ের ইচ্ছা পূরনেরজন্যএরপর তিনি কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। পিতাঅসুস্থ,সংসারে দারিদ্রের কালো ছায়া। তাই কলকাতায় শিক্ষা জীবন ছিলঠাকুরঅনুকূলচন্দ্রের জীবন সংগ্রামের সময়। টাকার অভাবে ঠিকমতখাওয়াপর্যন্ত জুটত না। কখনও রাস্তার ধারের কল থেকে জল খেয়ে কাটাতেহত।আর্থিক কষ্ট থাকলেও অনুকূলের ছিল মধুর অমায়িক ব্যবহার। তাঁরব্যবহারেমুগ্ধ হয়ে প্রতিবেশী ডাক্তার হেমন্তকুমার চাটুজ্জে ঔষধসহএকটিডাক্তারী বাক্স তাকে উপহার দেন। অনুকূলচন্দ্র ঐ ঔষধ দিয়েই শুরুকরেনকুলিমজুরদের সেবা। সেবার আনন্দের সাথে সাথে যে সামান্য কিছু অর্থআয়হত তাতেই ক্রমে ক্রমে তার অর্থকষ্টের অবসান হয়। কলকাতা থাকাঅবস্থায়অনুকুলচন্দ্র মাঝে মাঝে গঙ্গার ধারে বসে ব্যানমগ্ন থাকতেন।হিমাইতপুতেচিকিৎসক হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। এতে তার অভূতপুর্বসাফল্যআসে। তবে তিনি শুধু দেহের চিকিৎসাই করেন না, মনের চিকিৎসাওকরেন। তিনিউপলব্দি করলেন, মানুষের দুঃখের স্থায়ী নিবারণ করতে হলেশারীরিকমানসিক ও আত্মিক এই তিন রকম রোগেরই চিকিৎসা দরকার। তিনিমানসিকব্যাধীর চিকিৎসা শুরু করলেন। অসহায় যারা অবহেলিত যারা অনুকূলতাদেরহলেন প্রাণের বন্ধু। তাদের তিনি নামমহাত্ম শুনিয়ে কীর্তনের দলগড়েতুললেন। কিন্তু কিছু কিছু শিক্ষিত তরুণও এই সময় তাঁর প্রতিআকৃষ্টহয়ে পড়েন। এদের নিয়ে কীর্তন আনন্দে মেতে উঠলেন অনুকূলচন্দ্র।তখনথেকে সমাগত ব্যক্তিগণ তাকে ডাক্তার না বলে ঠাকুর বলে সম্মোধনকরতেথাকেন। ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের এই মহিমার কথা ক্রমশ ছড়িয়েপড়তেলাগল। তবে কীর্তনের ব্যাপারটা নিয়ে ঠাকুর গভীর চিন্তায় মগ্নহলেন।তিনি উপলব্দি করলেন, কীত্তন মানুষের মনকে উপরের স্তরে নিয়ে যায়বটে,কিন্তু সে অবস্থা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারে না। মনের স্থায়ীউন্নতিঘটাতে হলে চাই সৎনাম স্মরণ ও মননের সাহায্যে ব্রক্ষ্মারউপলব্দি। আরতার জন্য দীক্ষা একান্ত আবশ্যক। শুরুহল সৎ নাম প্রচারেরমহিম্মানিতঅধ্যায়। তাঁর ভক্ত ও অনুরাগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতেলাগল।সৎসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ঠাকুর শ্রী অনুকূলচন্দ্র। প্রতিষ্ঠান্টিরনামেরতাৎপর্য ব্যখ্যা করে তিনি বলেন, ‘সৎ ও সংযুক্তির সহিততদগতিসম্পন্নযাঁরা তাঁরাই সৎসঙ্গী, আর তাদের মিলনক্ষেত্রি হল সৎসঙ্গ।শুরু হলমানুষ তৈরির আবাদ। কর্মের মাধ্যমে যোগ্যতর মানুষ গড়াই হল এরলক্ষ্য।অন্যদিকে হিমাইতপুরে গড়ে উঠল ধর্ম কর্মের অপূর্ব সমন্ব্যেসৎসঙ্গআশ্রম। শিক্ষা, কৃষি, শিল্প সুবিবাহ আস্তিকের এই চারস্তম্ভেরঅভিব্যক্তি। এই আশ্রমে বিভিন্নমুখী কর্ম প্রতিষ্ঠানেরবিদ্যায়তন গড়েউঠল, প্রাচীন ঋষিদের তপবনের নবতর সংস্করণ যেন।ব্রক্ষচর্যা, গারস্থ,বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস সনাতন আর্য জীবনের এই চারটিস্তরই সৎসঙ্গআশ্রমভূমিতে এক সামঞ্জস্যপূর্ণ যুগোপযোগী রুপ লাভা করে।ঠাকুরঅনুকূলচন্দের আধ্যাত্মিক প্রেরণায় উদদ্ভু হয়ে দলে দলে মানুষএসে তাঁশিষ্যত্ব গ্রহন করে। ঠাকুর অনুকুল চন্দের প্রতিষ্টিত হিমাইতপুরসৎসঙ্গআশ্রম নামে উপমাহাদেশে সুপরিচিতি লাভা করে। মহাত্মা গান্ধীএইসৎসঙ্গের কর্মকান্ড দর্শন করে ভূয়শী প্রশ্নংসা করেন। (সংগ্রহীত)
শ্রীবিষ্ণু - Vishnu Mantra 3.0
বিষ্ণু হিন্দু বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ দেবতা। আদি শংকরপ্রমুখস্মার্ত পণ্ডিতদের মতে, বিষ্ণু ঈশ্বরের পাঁচটি প্রধান রূপেরঅন্যতম।আবার তৈত্তিরীয় শাখা ও ভগবদ্গীতা আদি শ্রুতিশাস্ত্রে তাঁকেসর্বোচ্চঈশ্বরের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বিষ্ণু সহস্রনামে বিষ্ণুকেপরমাত্মা ওপরমেশ্বর বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই গ্রন্থে তাঁকে সর্ব জীবওসর্ববস্তুতে পরিব্যাপ্ত সত্ত্বা; অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ তথাঅনাদিঅনন্ত সময়ের প্রভু; সকল অস্তিত্বের স্রষ্টা ওধ্বংসকারী;বিশ্বচরাচরের ধারক, পোষক ও শাসক এবং বিশ্বের সকল বস্তুরউৎসপুরুষ বলেবর্ণনা করা হয়েছে। পুরাণ অনুসারে, বিষ্ণুর গাত্রবর্ণ ঘনমেঘের ন্যায়নীল (ঘনশ্যাম); তিনি চতুর্ভূজ এবং শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মধারী। ভগবদ্গীতাগ্রন্থে বিষ্ণুর বিশ্বরূপেরও বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।লোকবিশ্বাসঅনুযায়ী, এই রূপের ধারণা বা কল্পনার শক্তি সাধারণ মানুষেরনেই।পুরাণে বিষ্ণুর দশাবতারেরও বর্ণনা রয়েছে। বিষ্ণুর এই দশপ্রধানঅবতারের মধ্যে নয় জনের জন্ম অতীতে হয়েছে এবং এক জনের জন্মভবিষ্যতেকলিযুগের শেষলগ্নে হবে বলে হিন্দুরা বিশ্বাস করেন। বিষ্ণুসহস্রনামেসৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার উক্তিতে বিষ্ণুকে "সহস্রকোটি যুগধারিনে" বলেউল্লেখ করা হয়েছে। এর অর্থ, বিষ্ণুর অবতারগণ সকল যুগেইজন্মগ্রহণ করেথাকেন। ভগবদ্গীতা অনুসারে, ধর্মের পালন এবং দুষ্টের দমনও পাপীরত্রাণের জন্য বিষ্ণু অবতার গ্রহণ করেন। হিন্দুদের প্রায়সকলশাখাসম্প্রদায়ে, বিষ্ণুকে বিষ্ণু বা রাম, কৃষ্ণ প্রমুখ অবতারেররূপেপূজা করা হয়। হিন্দুধর্মের ত্রিমূর্তি ধারণায়ব্রহ্মাকেবিশ্বচরাচরের সৃষ্টির প্রতীক, বিষ্ণুকে স্থিতির প্রতীক ওশিবকেধ্বংসের প্রতীক রূপে কল্পনা করা হয়েছে।ভাগবত পুরাণ মতে,ত্রিমূর্তিরএই তিন দেবতার মধ্যে বিষ্ণুর পূজাই সর্বাপেক্ষা অধিকফলপ্রদ।বিষ্ণুপুরাণ অনুসার ভগবান বিষ্ণুই সর্বোচ্চ ঈশ্বর । ভগবানবিষ্ণু থেকেইব্রহ্মা এবং শিবের উৎপত্তি । বিষ্ণু নয়বার পৃথিবীউদ্ধারের জন্যআবির্ভূত হয়েছিলেন এবং কলিযুগে কল্কি অবতার হয়ে আসবেনবলে বিশ্বাসকরা হয়। এই দশটি অবতার যথাক্রমে মৎস্য, কূর্ম , বরাহ,নৃসিংহ, বামন,পরশুরাম, রাম, বলরাম (মতান্তরে কৃষ্ণ), বুদ্ধ এবং কল্কি।যারা বিষ্ণুরউপাসনা করেন, তাদের বৈষ্ণব বলা হয়। শ্রীচৈতন্য বঙ্গদেশেগৌড়ীয়বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তন করেন। সাহিত্য, চিত্রকলা, ভাস্কর্যপ্রভৃতিক্ষেত্রে বিষ্ণু সুবিদিত। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতেরবিভিন্নমন্দির ও জাদুঘরে বিষ্ণুর অনেক মূর্তি আছে।
মা অন্নপূর্ণা - Annapurna Mantra 2.0
দেবী পার্বতী ভিক্ষারত শিবকে অন্নপ্রদান করে এই নাম প্রাপ্ত হন।চৈত্রমাসের শুক্লাষ্টমী তিথিতে অন্নপূর্ণার পূজা করা হয়। হিন্দুবিশ্বাসঅণুযায়ী, অন্নপূর্ণার পূজা করলে গৃহে অন্নাভাব থাকে না।কাশীতেঅন্নপূর্ণার একটি বিখ্যাত মন্দির আছে; এই মন্দিরে অন্নপূর্ণাপূজাওঅন্নকূট উৎসব প্রসিদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গে অন্নপূর্ণা পূজার বিশেষপ্রচলনরয়েছে। অন্নপূর্ণা পূজা কালী ও জগদ্ধাত্রী পূজার মতোইতান্ত্রিকপূজা। রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র দেবীর অন্নপূর্ণার মাহাত্ম্য্যবর্ণনাকরে অন্নদামঙ্গল কাব্য রচনা করেছিলেন।
সূর্যদেব মন্ত্র - Surya Mantra 2.0
সূর্য সাধারণত জীবন-শৈলীর কারক। সমস্ত শক্তির উৎস এই সূর্য, তাইমনুষ্যজাতি সূর্যদেবকে পূজো অর্চনার মাধ্যমে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ওআশীর্বাদপ্রদানের কামনা করা হয়। ভারতে সূর্য্যোপাসনার জন্য প্রসিদ্ধপার্বণ হলছট পূজা। এটি বছরে দুবার পালিত হয় — প্রথমবার চৈত্র মাসে(চৈতী ছট)এবং দ্বিতীয়বার কার্তিক মাসে (কার্তিকী ছট)। পারিবারিকসুখ-সমৃদ্ধিতথা মনোবাঞ্ছিত ফল লাভের জন্য এটি পালন করা হয়।নারী-পুরুষ সমানভাবেএই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।
শিবগীতা - Shivgita 4.0
ভগবান শিবের মুখারবিন্দ থেকে বের হয়েছে এই শিবগীতা।পদ্মপুরাণেউল্লিখিত শিবরাঘব সংবাদ শিবগীতা নামে প্রসিদ্ধ । এখানেওআঠারোটিঅধ্যায় রয়েছে । এই আঠারোটি অধ্যায় যথাক্রমে - শিবভক্তিনিরূপণ ,বৈরাগ্য উপদেশ , বিরজাদীক্ষা নিরূপণ , শিব প্রাদুর্ভাব ,রামকে বরপ্রদান , বিভূতি যোগ , বিশ্বরূপ দর্শন , পিণ্ডোৎপত্তি কথন ,দেহস্বরূপ নির্ণয় , জীব স্বরূপ কথন , জীব গতি নিরূপণ , উপাসনা জ্ঞানফল ,মোক্ষ নিরূপণ , পঞ্চকোশোপপাদন , ভক্তিযোগ , গীতা অধিকারী নিরূপণ,ব্রহ্ম নিরূপণ যোগ এবং জীবন্মুক্তি স্বরূপ নিরূপণ যোগ ।